মুলাদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সেবার মান নেই : সরকারী এ্যাম্বুলেন্স চলে ভাড়ায়

৩১শয্য বিশিষ্ঠ মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০শয্যায় উন্নিত করা হলেও সেবার নিয়ে রোগীদের রয়েছে নানান অভিযোগ। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এর বর্তমান সেবার মান নিয় হতাশ রোগীরা। সরকারী এ্যাম্বুলেন্স চলছে ভাড়ায়। রোগীদের দেয়া খাবারের মান নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। সকাল-বিকাল দুইবেলা ফার্মের মুরগীর ১০গ্রাম ওজনের এক টুকরো গোস্ত ও দুইপিচ আলু দিয়েই চলে রোগীদের আহার ব্যবস্থা।
মুলাদী উপজেলায় ২৮জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত ডাক্তার আছেন ১৪জন। যাদের মধ্যে নেই একজনও কনসালটেন্ট। স্বাস্থ্যকমল্পেক্সের এক্সরে মেশিন এর ব্যবহার না থাকায় পরে আছে অচল অবস্থায়। প্যাথোলজিক্যাল শাখায় নেই দক্ষ টেকনিশিয়ান ও ঔষধ সরবরাহ। নেই আল্ট্রাসনোগ্রামের কোন ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যকমল্পেক্সটিতে ইসিজির ব্যবস্থা থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভুক্তভোগী রোগীদের সেবা নিতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী নয়ন সরদার ভোরের আলোকে জানান, গত ৬দিন যাবত তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও কোন ডাক্তারের দেখা মেলেনি ওয়ার্ডে।
অনান্য রোগীদের মধ্যে মিজান হাওলাদার, হাসান আলী মাঝি (৮০), ইভা (১৩), নুরভানু (৫৫), ফজিলাতুননেছা (৩৫) বলেন, হাসপাতাল থেকে ঔষধ দেয়া হচ্ছে না। সকল ঔষধ সরবারহ করতে বাহির থেকে। হাসপাতালের খাবার খেয়ে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পরছে। নেই কোন পরিস্কার পরিছন্নতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন রোগী জানান, শুধুমাত্র গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধ আমরা পেয়েছি। সরকারী এ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে মুলাদী হাসপাতালে থেকে ১৩কিলোমিটার রাস্তার দুরত্ব মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে যেতে ড্রাইভারকে দিতে হয়েছে এক হাজার (১০০০) টাকা। মুলাদীতে গাইনী সার্জন ডাক্তার থাকলেও অপারেশন থিয়েটারের সরঞ্জামাদি না থাকায় গর্ভবতি মহিলাদের বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে সিজার করাতে হয়। সিভিলসার্জন ও উপপরিচালককে একাধীকবার জানানোর পরেও এসব কর্মকান্ড বন্ধ করতে আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ সাইয়েদুর রহমান ভোরের আলোকে জানান, আমাদের কাছে ঔষধ সরবরাহ যা আছে সেগুলো দিয়েই আমরা বর্তমানে রোগীদের সেবা করে যাচ্ছি। এছারা এ্যাম্বুলেন্সের অনিয়মের বিষয়ে আমাদের জানা ছিলো না। এ্যাম্বুলেন্স এর অনিয়মের বিষয়টি আমরা নজরে এনেছি শিঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইয়েদুর রহমান আরো বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার ও সরঞ্জামাদি না থাকার বিষয়ে এ আমরা ইতিমধ্যে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে একাধীকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। শিঘ্রই সমাধান মিলবে।